হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজি ক্বোম প্রদেশের প্রধান বিচারপতি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন মুসাভির সঙ্গে সাক্ষাতে বলেন: যদি স্কুল, গণমাধ্যম, মসজিদ ও টেলিভিশনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক কাজ সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তবে আদালতে মানুষের যাতায়াত কমে যাবে এবং মামলার চাপও বৃদ্ধি পাবে না।
তিনি বলেন, সংঘর্ষ নিরসনকারী পরিষদসমূহের (শুরা-ই হাল-ই এখতেলাফ) কার্যক্রম আরও সক্রিয় করা উচিত, যাতে তারা যতটা সম্ভব সমস্যাগুলো আদালতে না নিয়ে গিয়ে নিজেরাই সমাধান করতে পারে।
তিনি ক্বোমকে একটি বিশেষ শহর হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ক্বোমবাসীর প্রত্যাশা অন্যান্য শহরের তুলনায় বেশি। এই শহরটিকে অপরাধ ও দুর্নীতির দিক থেকে কমতার একটি উদাহরণে পরিণত করা উচিত।
তিনি বলেন, কিছু গোপন হাত রয়েছে যারা মদপান ও মাদকসেবনের প্রসার ঘটাতে চায়। অথচ এসব অপরাধ ও জঘন্য কাজের পেছনে প্রধান কারণ। তাই বিচার বিভাগকে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ও নির্ভয় হয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজি বলেন, বিভিন্ন আদালত ও শাখার মধ্যে পরামর্শমূলক বৈঠক অত্যন্ত জরুরি। প্রতিটি শাখা নিয়মিতভাবে বিচার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শে থাকবে এবং তাদের দিকনির্দেশনা গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা অপরাধ বৃদ্ধির বা হ্রাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এগুলো সরাসরি বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণে নয়, তবুও পরামর্শের মাধ্যমে প্রভাব ফেলতে পারে।
সবশেষে তিনি বলেন, বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হলে জনগণের মধ্যে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা বাড়ে। যদি কোনো মামলার নিষ্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে চলে, মানুষ হতাশ ও অস্থির হয়ে পড়ে। এই কারণে, এমনকি এক দিনও যদি মামলার নিষ্পত্তি ত্বরান্বিত করা যায়, সেটাও একটি মূল্যবান অর্জন।
আপনার কমেন্ট